শিরোনাম :
প্রতিবন্ধী সাজিয়ে দিনমজুরের জমি দখল প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পে অনিয়ম রোধে কঠোর অবস্থানে-চরফ্যাশন ইউএনও ‎ চরফ্যাশনে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা খাদ্যের পুষ্টিমান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় চ্যাম্পিয়ন মিলারদের স্বীকৃতি প্রদান উত্তর আইচা কেমিস্ট ও ড্রাগিষ্ট কমিটির সভাপতি নুরনবী, সম্পাদক মিজানুর রহমান আওয়ামীলীগের কর্মসূচির বিরুদ্ধে চরমানিকা ৮ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিল দক্ষিণ আইচা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার উদ্বোধন চরফ্যাশন রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম-সম্পাদক’র জন্মদিন পালিত ২ দিনের সফরে কাল নিজ এলাকায় আসবেন নুরুল ইসলাম নয়ন
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ন

বরিশালের কলেজছাত্রী মরিয়ম ঢাকায় অবৈধ ব্যবসায় দীর্ঘদিন, নিঃস্ব হচ্ছে যুবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক।। / ৭৫ Time View
Update : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

বরিশালের কলেজছাত্রী সৈয়দা মরিয়ম মৌ (১৮) নামের এক তরুণী ঢাকায় অবৈধ ব্যবসায় দীর্ঘদিন জড়িত তার টার্গেট শুধু বড়লোক ছেলেরা। সে ডজনখানেক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রেমের নামে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে শোহান নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের জন্য পাতারা চালাচ্ছে। কলেজ ছাত্রী মরিয়ম বরিশাল মেহন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বেলতলা গ্রামের মীরা বাড়ির বৃদ্ধ সৈয়দ আবুল কাশেম মীরের মেয়ে। এবং সে বরিশাল লোকনাথ মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।কলেজছাত্রী মরিয়মের গ্রামে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম বরিশাল গ্রামের মেয়ে হলেও বছরের পর বছর থাকতেন ভোলার চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড তার মামা আব্দুল মোতালব দপ্তরী বাড়িতে। সেখানে কেরামতগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় তার রূপের জাদুতে ভেলকি লাগিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছেন কয়েকজন তার সহপাঠী স্কুল পড়ুয়া তরুণকে। পরে তাদের সাথে প্রেমের নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা, অর্থাভাবে নি:স্ব করেছেন তাদেরকে। বিষয়টি জানাজানি হলে এসএসসি পরিক্ষা দেয়া হলে তার মা মোরশেদা বেগম বরিশালের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। আরও জানা যায়, এসএসসি পাস করার পর বরিশাল লোকনাথ মহিলা কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয় তার পরিবার। এরপর সেখানে এক যুবকের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে করতে গিয়ে ধরা খায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ঢাকায় চলে যায় মরিয়ম। বর্তমানে তার এডভোকেট দুলাভাইর বাসায় আছেন। ঢাকা খিলক্ষেত মসজিদ গোল্লী এলাকায় গিয়ে স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রেম নামে প্রতারনা করা মরিয়ম প্রতিদিন সকাল-বিকাল তার দুলাভাই এডভোকেটের তিনতলা ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়ান। তারপর প্রথমে চেহারা ভালো ও টাকা পয়সা বড়লোক এমন ছেলেদের টার্গেট করে তাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। এরপর তাদের সাথে মোবাইলে কিছু দিন আলাপচারিতা শুরু হয়ে দেখাসাক্ষাৎ করেন। এরপর ছেলেদের ইমোশনাল করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন প্রয়োজন আছে বলে হাজার হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। তার দুলাভাইর বাসার নিচতলায় তালেম নামে এক যুবকের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি অবৈধ কাজ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এখন পুরো খিলক্ষেত এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও কলেজছাত্রী মরিয়মের বিরুদ্ধে রয়েছে দেহব্যবসার অভিযোগ, সে ঢাকা উত্তরা একটি আবাসিক হোটেলে এক যুবকের সাথে ধরা পড়েছেন। পরে পুলিশ মুচলেকায় নিয়া ছেড়ে দেন। কলেজছাত্রী মরিয়মের প্রেম প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন দুইজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। যার সমস্ত প্রমান এই প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কুড়িল বিশ্বরোড খিলক্ষেত এলাকার ভুক্তভোগী এক যুবক জানান, মরিয়ম নামে এক প্রতারক মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক হয়। এরপর প্রেমের নামে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশ নাম্বারে প্রায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার রুপে, মিষ্টি মিষ্টি কথায় আমি প্রেমে পড়ে যাই। সহজ-সরল ভাবে তাকে বিশ্বাস করে আমি আজ নিঃস্ব। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ,ও মেসেঞ্জারে দিনরাত কথা বলত, আপত্তিকর ছবি আদান প্রদান করত। তার প্রতি মায়া সৃষ্টি করে প্রেমের নামে আমার নিকট থেকে বিভিন্ন প্রয়োজন দেখিয়ে বিকাশে টাকা নিতে থাকে। আমার সর্বোচ্চ লুটেপুটে নেয়ার পর সে আমাকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক মেরে রাখে। পরে তার সাথে সম্পর্ক বেঘাত ঘটে। ওই মেয়েটা একটা প্রতারক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোলার এক যুবক জানান, তার এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইল নম্বরে পরিচয় হয় মরিয়মের সাথে৷ এর সুত্র ধরে তার পরিবারের সকল সদস্যের সাথে আন্তরিকতা তৈরি হয় তার। এরই মধ্যে মরিয়ম সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন তার সাথে। কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের প্রস্তাবও দেয় মরিয়ম। বিয়ে করবো এই সরল চিন্তা থেকে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন অজুহাত মাসে মাসে টাকা হাতিয়ে নেয় মরিয়ম৷ একটা সময় পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল। হটাৎ আমাকে ঢাকায় আসার জন্য বলে মরিয়ম। আমি ঢাকায় গেলে সে আমার সাথে মোবাইল ফোনে খুব খারাপ ভাষায় কথা বলে ফোন কেটে দেয়। ওর বিচারের দাবি জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মরিয়ম মৌর ঘনিষ্ট আত্মীয় বলেন, মরিয়ম শত শত ছেলেদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বহু ছেলেকে ধবংস করেছে। ছেলেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই হলো তার মূল লক্ষ্য। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শিক্ষা দেওয়া হোক। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো তরুণী এ কাজ করতে সাহস না পায়। এদিকে প্রেম প্রতারণাসহ এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সৈয়দা মরিয়ম মৌর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি মাত্র তিনটা প্রেম করেছি। তারমধ্যে উত্তরা এলাকার শোহান নামে একজনকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্যদুজনের কাছ থেকে যতো টাকা পয়সা নিয়েছি সব ফিরিয়ে দেবো।

পর্ব-১ / দ্বিতীয় পর্বে আসছে,


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category