চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর চরমানিকা লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার ভবনের পানির ট্যাংকির নীচে ৬টি হুতুম পেঁচার (বাচ্চা) পাওয়া গেছে। ওই মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ওয়াকিল হোসেন চৌধুরী ২১ জানুয়ারি (রোববার) সকালে ভবনের ছাঁদ থেকে নীচে তাকালে পানির ট্যাংকির এক কোনে ৬টি হুতুম পেঁচার বাচ্চা দেখতে পেয়ে
সহপাঠী ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষককে অবহিত করেন।শিক্ষকমন্ডলী বন্য প্রাণী হুতুম পেঁচাকে কোন রকম ক্ষতি না করতে নির্দেশ দেন। ধারণা করা হচ্ছে, হুতুম পেঁচার মা ভবনের পানির ট্যাংকিকে নিরাপদ বাচ্চা পালনের জায়গা হিসেবে ডিম পেরেছেন।
এব্যাপারে ওই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক এম লোকমান হোসেন বলেন, হুতুম পেঁচার ৬টি বাচ্চার খবর শুনে প্রতিষ্ঠানের উৎসুক ছাত্র -ছাত্রী এক নজর হুতুম পেঁচা দেখতে ছাঁদে উঠতে ভীর জমাচ্ছে। আমরা হুতুম পেঁচার বাচ্চাগুলো যাহাতে নিরাপদে থাকে সে বিষয়টি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখছি।
হুতুম পেঁচা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এটি ১ প্রকার নিশাচর শিকারি পাখি। স্ট্রিজিফর্মিস বর্গভুক্ত এই পাখিটির এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০টি প্রজাতি টিকে আছে। বেশিরভাগ পেঁচা ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ইঁদুর এবং কীটপতঙ্গ শিকার করে। তবে কিছু প্রজাতি মাছও শিকার করে। পেঁচা ওপর থেকে ছোঁ মেরে শিকার ধরতে অভ্যস্ত। শিকার করা ও শিকার ধরে রাখতে এরা বাঁকানো ঠোঁট বা চঞ্চু এবং নখের ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে সতেরো প্রজাতির পেঁচা পাওয়া যায়, যার মধ্যে পনেরোটি স্থায়ী এবং দু’টি পরিযায়ী। নির্বিচারে প্রাকৃতিক বৃক্ষ নিধন, ফসল আবাদ করতে জমিতে বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার ও অবাধে শৌখিনতার বসে শিকারের ফলে হুতুম পেঁচা আজ বিলুপ্তির পথে।