ভোলার চরফ্যাশনে কামাল চৌধুরী নামে এক আওয়ামী সভাপতি ও ইউপি সদস্যের নির্মাধীন বসতঘর ভাঙচুর ও আসবাবপত্র লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আলম ডুবাইর বিরুদ্ধে। গত (৬ আগষ্ট) মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলার ভয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেননি কামাল চৌধুরী। তিনি চরমানিকা ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত আলম ডুবাই একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ওই ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগে আওয়ামী নেতা কামাল চৌধুরী জানান, গত ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে আলম ডুবাইর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা আমার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্মাণাধীন বসতঘরটি ভাঙচুর করে আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যান।তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে ক্রয়কৃত ২৪ শতাংশ জমিতে ওই বসতঘরটি নির্মাণ করেছি। ঘরটিতে প্রায় ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র ছিল। সেই মালামাল লুট করে ঘরের টিনের চাল, খাট ফেলে যায় আলম ডুবাইর লোকজন। কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। এরপর আলম ডুবাইর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা আমার চরমানিকা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আরেকটি বসতঘরে হামলা চালায় এবং আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে এ পরিস্থিতিতে আমি সহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিটার ওপর নির্মাণাধীন বসত ঘরটি নাই, খালি জায়গা পড়ে আছে। ভিটার পাশে ছড়ানো-ছিটানো রয়েছে টিনের চাল সহ খাট ও দরজা-জানালা। স্থানীয় আবু তাহের হাওলাদার জানান, ৬ আগষ্ট সকালে কামাল চৌধুরীর বসত ঘরটি ভাঙচুর শুরু করলে শব্দ শুনে এলাকাবাসী এসে জড়ো হন। তবে কেউ হামলাকারীদের বাধা দিতে সাহস পাননি।ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলম ডুবাই বলেন, আমার মালিকানাভুক্ত জমিতে জোর করে ওই ঘরটি তোলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল চৌধুরী। এ জন্য ভেঙে ফেলেছি। তবে আসবাবপত্র লুট করে নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।