জমিজমা ও যুবলীগের পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ১১ নম্বর রসুলপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিলন হাওলাদারকে ছুড়িকাঘাত করেছে একই ওয়ার্ডের উত্তর আইচা গ্রামের যুবক মো. রাকিব মাতব্বর।
এমন অভিযোগে উপজেলার শশীভূষণ থানায় রোববার মিলন হাওলাদারের পিতা নুর মোহাম্মদ হাওলাদার একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
অভিযুক্ত রাকিবকে এলাকায় বা মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তবে রাকিবের বাবা মো. সেলিম মাতব্বর ছুড়িকাঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিলন হাওলাদার পক্ষ তাদের জমি দখল করে ভরাট করছিল। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। কেউ মিলনকে ছুড়িকাঘাত করেনি। এ সময় তাঁর দুই ছেলে আহত হয়েছে।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, শনিবার বিকালে চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর আইচা গ্রামের হলুদ দালান এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ কর্মী মো. রাকিব(২৭) কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিলন হাওলাদারকে ছুড়িকাঘাত করে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এলাকবাসি জানান, রাকিব ওয়ার্ড যুবলীগ একজন কর্মী। সে আগামী ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি পদপ্রার্থী। এ ছাড়া রাকিবের বাবা মো. সেলিম মাতব্বর ২০ বছর আগে জনৈক মো. ফজলুর রহমানের নিকট ১২ শতাংশ জমি বিক্রি করে। নগদে নূর মোহাম্মদ হাওলাদার বাড়ি সংলগ্ন ওই জমি ফজলুর রহমানের নিকট থেকে কেনে নেন ৭নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি, নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে মিলন হাওলাদার। কিন্তু সেলিম মাতব্বর ওই জমির দখল দিতে চায়নি। তাঁরা এখনও জমির মালিকানা দাবি করেন। জমির দখল নিয়ে মিলন হাওলাদার ও সেলিম মাতব্বর পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধ নিরসনে স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক বসলেও সমাধান হয়নি। শনিবার জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি, হাতাহাতির এক পর্যায়ে সেলিমের ছেলে মো. রাকিব মাতব্বর মিলনকে ছুড়িকাঘাত করে। আহত মিলনকে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় মিলন ছাড়াও মিলনের শ্যালিকা নাসিমা আক্তার (৩৫) সেলিম মাতাব্বরের পুত্র রাকিব, টুটুল আহত হন। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শশীভূষণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, বাদী নুর মোহাম্মদ হাওলাদার আসামী মো. রাকিব মাতব্বর, তাঁর ভাই মো. কালু ওরফে টুটুল মাতব্বর, তাঁর বাবা মো. সেলিম মাতব্বর, মা মোসা. মালেকা বেগম, ভাবী নাজমা বেগম, চাচী মোসা. আঁখি বেগম, মো. সুলতান আহাম্মেদ মৃধাসহ ১০জনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মিলন হাওলাদারকে ছুড়িকাঘাত অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছে। তবে কেউ আটক হয়নি।