ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে এক দিনমজুরের জমি দখল করে ভবন ও টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুলতান আহাম্মেদের ছেলে দিনমজুর মো.বেলাল আহাম্মেদ চরফ্যাশন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন সহ ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা করেছেন। লিখিত অভিযোগে দিনমজুর বেলাল আহম্মেদ বলেন, উত্তর চরমানিকা মৌজার ২০৬ নং এস এ খতিয়ানে এবং ডিয়ারা ৩৫৪ খতিয়ানে ১১৮৯,১১৯০, ১১৯১ দাগে ৭২ শতাংশ জমি আমাদের ছিল। সেখান থেকে উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন ১৯৯৬ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর ২৪ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয় প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন আমাদের জায়গায় থাকা ২৬৫ টি মেহগনি গাছ কেটে স্কুল ভবন ও টয়লেট নির্মাণ করেছেন। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন আওয়ামীলীগের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি প্রদান করেছেন। তার ভয়ে ওই পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকা শহরে চলে যাই। সেখানে মানবতার জীবনযাপন কাটাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে দীর্ঘ ২৯ বছর পর গ্রামের বাড়িতে এসে আমাদের জমির দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে বললে সে ফের হুমকি প্রদান করেন। পরর্বতীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছে বিচারের দাবী জানালে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন আমাকে মানসিক প্রতিবন্ধী আখ্যায়িত করেন। নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সালে চরফ্যাশন আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা, ও স্কুল থেকে বদলি করা এবং আমার জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। শুক্রবার(২২ আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা ফজলু ডাক্তার বলেন, বেলাল আহম্মেদের পৈত্রিক সম্পত্তির মধ্যে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন স্কুলের টয়লেট ও ভবন নির্মাণ করেছেন। তিনি এর দ্রুত সমাধান করে দেওয়ার দাবী তার। এ বিষয়ে উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে বেলাল আহম্মেদ যে অভিযোগ দিয়েছে তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। বেলাল আমার ছাত্র, সে স্কুলের মধ্যে জমি পেলে কাগজপত্র নিয়ে বসলে যদি জমি পায় তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে। চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এমদাদুল হোসেন বলেন, দিনমজুর বেলাল আহম্মেদ যেহেতু আদালতে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালতের রায় অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।