গত ৪ ও ৫ আগষ্ট দৈনিক আজকের ভোলা আঞ্চলিক পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে, ‘রায় উপেক্ষা করে জমি দখল, ফসল নষ্ট, হামলা-লুটপাট ও হুমকি,শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকার। প্রতিবাদে তিনি জানান, প্রকাশিত সংবাদটি আমাকে জড়িয়ে যা উপস্থাপন করা হয়েছে, আমি নাকি ২০০৪-০৫ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে সমিতির সদস্যদের নামে সরকারি বন্দোবস্তকৃত জমি নিজের নামে সৃজন করেছি। একই মৌজায় গাড়ি শ্রমিক সমিতির সদস্যদের জমি দখল করেছি। এবং আদালতের রায় উপেক্ষা করে গত ১ আগস্ট অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সমিতির সদস্যদের সৃজিত প্রায় ৩০ একর জমির আমন ধান নষ্ট করেছি। ২ আগস্ট আরও ১০ একর জমির ফসল নষ্ট করেছি। সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মানহানিকর। উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে, লালমোহনের বাসিন্দা মতলব কমান্ডারের ছেলে বজলুর রহমান ও চর আইচার বাসিন্দা ফারুক আখন। কৃষক সমিতির নাম ব্যবহার করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে দক্ষিণ চর আইচা মৌজার ৩৬৫ জন ভূমিহীনদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করেন। ভূমিহীনদের বাধার মুখে ব্যর্থ হলেও থেমে যায়নি ভূমিদস্যু চক্রটি। চলতি আমন মৌসুমে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেন। ভূমিহীনরা আমন আবাদ করতে গেলে কয়েক দফায় বাধা ও মামলা হামলা করেছে ওই চক্রটি। উক্ত সমিতির নামে স্থানীয় ভূমি অফিস সহ সংশ্লিষ্ট অফিসের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তারা ভুয়া কাগজপত্র দিয়া ভূমিহীনদের উৎখাতের চেষ্টা করছে। ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে ভূমিহীনরা এসব বিষয়গুলো আমি চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হওয়ায় আমাকে জানিয়েছে। উক্ত মৌজায় আমার কোনো জায়গা জমি নাই। আমি ভূমিহীনদের পাশে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করার কারণে সাংবাদিককে ভুল তথ্য দিয়ে ভূমিদস্যুরা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিক, সামজিক ও কর্মক্ষেত্র হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এধরণের সংবাদ প্রচার করালে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
প্রতিবাদকারী
মো.রেজাউল করিম খন্দকার (প্রভাষক)-ঢাকা সরকারি ই-আলিয়া আলিয়া মাদ্রাসা। সাবেক প্রভাষক-চরফ্যাশন সরকারি কলেজ। সাবেক চেয়ারম্যান-চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদ। সাবেক সভাপতি-দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপি।