বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা শাহান (২৫) এখনও অধরা। অথচ দোষী এবং নির্দেশদাতাদের বিচারের মুখোমুখি করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি। জানা যায়, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও গুলির ঘটনায় একের পর মামলা হচ্ছে। নির্দেশদাতা হিসেবে মামলার আসামি হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সহ বেশকিছু প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা ও আহত করে আওয়ামীলীগ সরকার টিকে থাকতে চেয়েছিল। আরও জানা যায়, ছাত্র আনদোলনে ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিরোধী রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করেছেন প্রশাসন। সে সঙ্গে চিহ্নিত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা শাহান। শাহান সহ সবাই এখন পলাতক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোলা সরকারি কলেজে এক শিক্ষার্থী বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথে তালমিলিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতা শাহান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শাহান আত্মগোপনে চলে যান। তাকে গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি। শাহান ভোলা পৌর আলকি গ্রামের বাসিন্দা মো. হান্নানের ছেলে। এবং শাহান ভোলা আওয়ামী ছাত্রলীগের একজন সদস্য। এব্যাপারে শাহানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার মা হামিমা বেগম জানান, শাহান একজন ট্রাক চালক, বর্তমানে ঢাকায় কর্মে রয়েছে। ভোলা সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, আন্দোলনে হামলা ও গুলির নির্দেশদাতাদের বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।