শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড ও শিক্ষকরা হলেন এই মেরুদন্ড গড়ার কারিগর। একটি জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভুমিকা অপরিসীম। একজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানকে নিয়ে। স্কুল শিক্ষক মিজানের দাবী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানী ও অপপ্রচার চালিয়ে তার মানহানী করছে একটি কুচক্রী মহল। খোজ নিয়ে জানা যায়, উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি না পেয়ে একটি মহল ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মোসলেম ডাক্তারের ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক মিজানের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী ও মান সম্মান নষ্ট করা সহ বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আরও জানা যায়, ওই গৃহবধূ চরমানিকা ১ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির স্ত্রী। তিনি ওই স্বামীর সংসার থেকে অন্য পুরুষের সাথে পরিচয় হলেই বিয়ের জন্য দৌড়ঝাঁপ দেন এবং ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ব্যবহার করে রমরমা বিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি বিয়ের কাবিনে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহর নির্ধারণ করেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে দাবী করেন লাখ লাখ টাকা । শুধু তাই নয়, তার মতের বিরুদ্ধে গেলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করারও অভিযোগ এসেছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। এর নেপথ্যে আছেন স্কুল শিক্ষক মিজানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুল শিক্ষক মিজান একজন ভালো শিক্ষক। তিনি স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষে ও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা বিষয়ে সবসময় খোঁজ খবর নেন।নবন ও দশম শ্রেণির কয়জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, মিজান স্যার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের মিজান স্যারের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মোসলেম জানান, ওই স্কুলের জমিদাতা আমার পরিবার। তাছাড়া বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে যখন ছিলাম কখনো অন্যায়ের সঙ্গে কোনদিন আপোষ করেনি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল একজন নারীকে দিয়ে আমার ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক মিজানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিজান একজন ভালো মানুষ। সে কখনও কোনোদিন কোনো খারাপ কাজ করিনি। প্রতিষ্ঠানে কোনো অন্যায় করিনি। এরপরেও কেন তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে তা জানি না।স্কুল শিক্ষক মিজান জানান,একটি কুচক্রী মহল ২ সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। এতে সামাজিক ভাবে আমার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। ইতিমধ্যে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাই আমার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সত্য মামলা,, একটা বাটপার উনি।