ভোলার চরফ্যাশনে মধ্যবয়সী এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ওই নারী ও তার স্বামীকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরপাতিলা গ্রামে ওই নারীর বসতঘরে এই ঘটনা ঘটে। নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চরকুকরি-মুকরি ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.ফিরোজ(৫০)। এবং তার তিন সহযোগী একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো.খোরশেদ(৪০), মো. মন্নান(৪০), ও মো.সিরাজ(৩৫)। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে রোববার (২৯ জুন) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী পেশায় একজন জেলে। সে নদীতে মাছ শিকার করেন। তাতে আমাদের সংসার চলে। আমি বাড়িতে একাই থাকি। ঘটনার দিন আমার স্বামী স্থানীয় চরপাতিলা বাজারে বাজার করতে গেলে সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা ফিরোজ সহ তার তিন সহযোগী আমার বাড়িতে আসেন। এবং আমার বসতঘরে প্রবেশ করে কথা বলার এক পর্যায়ে আমাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ততক্ষণে আমার স্বামী বাজার থেকে এসে দেখে পেলেন। এবং সে ডাক-চিৎকার করতে থাকেন। তখন বিএনপি নেতা ফিরোজ সহ তার সহযোগীরা আমার স্বামীকে ও আমাকে মারধর করে চলে যায়। এরপর আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়েছি। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, একা বাড়ি পেয়ে আমার স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করেছে বিএনপি নেতা ফিরোজ ও তার তিন সহযোগী । আমি দেখে পেলায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের প্রতিবাদ করছে না। আমি তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এবং এই ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো.ফিরোজ ও তার তিন সহযোগী মো.খোরশেদ, মো.মন্নান, সিরাজ বলেন, খালে জালপাতা নিয়ে তাদের সাথে ঝগড়া হয়েছে। এবং দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা হবে কেনো। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমরাও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া বলেন, নারীকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।