ভোলার চরফ্যাশনে ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন ভোগ দখলে থাকার পরেও বসতঘর নির্মান করতে গিয়ে হয়রানিমূলক হেনস্তার স্বীকার হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদ্বয়ের কাছে বিচার চেয়ে সমাধান পাননি ভুক্তভোগী পরিবার। উল্টো প্রতিপক্ষ মো.রশীদ মাঝি,মোসলেউদ্দিন মাঝি,চাঁন শরিফ ও খালেক মাঝি গংরা জমির মালিক-মজিবুর,শাহিন,সাখওয়াত,ও হান্নান মাঝির বিরোদ্ধে শশীভূষণ থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন।
জানা যায়, গত ১৫ বছর আগে অন্যান্য ওয়ারিশ ও মো.জয়নাল আবদীনের কাছ থেকে মো.মজিবুর রহমান রসুলপুর মৌজার মোট ১এককর ৬৭শতাংশ জমি ওয়ারিশ ও ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে নিজের নামে নামজারি করে দীর্ঘদিন ভোগদখলে থেকে গত ২০২৩ সালের শুরুর দিকে তার আপন ভাতিজা শাহিন, সাখাওয়াত,ও হান্নান মাঝির কাছে রসুলপুর মৌজার এস এ দাগ নং ১০০ এবং দিয়ারা দাগ নং ১০১ দাগে ১৯ শতাংশ জমি বিক্রি করেন।
পরে শাহিন গংরা ক্রয়কৃত জমিতে বতঘর নির্মান কাজ শুরু করলে খরিদকৃত জমিটি পৈতিক সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে একই বাড়ির চাচা রশিদ মাঝি গংরা নির্মান কাজে বাধাঁ দেন।এবং মজিবুর, শাহিন, সাখওয়াত,ও হান্নানসহ ৪জনের বিরুদ্ধে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, তারা পরস্পর আত্মীয়-স্বজন এদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিভিন্ন দাগে রয়েছে দেখাযায় কোনো জায়গায় ২শতাংশ আবার কোনো জায়গায় ৩শতাংশ মুলত এই ভাবে সম্পত্তি বন্টন করা হলে ওই জমিতে কিছু করা সম্ভব হয়না। তাই ওয়ারিশদের সুবিধার্তে বিভিন্ন দাগে পৈত্রিক সম্পত্তি থাকলেও এক দাগে ভোগ করা যায়। মুলত বর্তমানে জমির মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন দন্দ লেগে আছে এদের মধ্যে।
জমির মালিক মজিবুর বলেন, টাকা দিয়ে বৈধভাবে জমি কিনে ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। জমি কিনা কালীন সময়ে কেউ কোনো বাধাঁ প্রদান করেনি। কিন্তু সেই জায়গায় ঘর নির্মান করতে গেলে প্রতিপক্ষ পৈত্রিক জমি দাবী করে বাধাঁ দেওয়ায় নির্মান কাজ আটকে আছে।
পৈত্রিক জমির মালিক দাবিদার রশীদ মাঝি বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এখানে। মজিবুর কিভাবে জায়গা ক্রয় করলেন আমাদের জানা নেই। হঠাৎ দেখি তিনি ঘর নির্মান করছেন শুনে আমরা কাজে বাধা দেই। পরে এখানে কোনো ধরনের ঘর নির্মান যাতে না হয় সেজন্য থানায় অভিযোগ করেছি।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, ‘ দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সমাধানের চেষ্টা চলছে।