ভোলার চরফ্যাশনে অটোচালক হারুন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
হত্যাকান্ডে জড়িত চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বজলুরহমান দপ্তরীর ছেলে মো. মিজান ও ওই ওয়ার্ডের সাজাহানের ছেলে রিয়াজ এবং এওয়াজপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন বেপারীর ছেলে মো. আবুবক্কর সিদ্দিক ওরফে ভাগিনা রিয়াজ নামের তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার ও হত্যা কাজে ব্যবহারিত অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও পলাতক রয়েছে মো. রুবেল নামের আরোও এক আসামী। আজ বুধবার(৩ জানুয়ারী) বিকালে চরফ্যাশন থানা চত্বরে সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) মেহেদী হাসান প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জানায় , ২০২৩ সনের ২০ ডিসেম্বর চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ঢাল থেকে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের মুনাফা পালোয়ানের ছেলে মো. হারুন নামের এক অটোচালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় মরদেহ উদ্ধারের দিন ২০ ডিসেম্বর নিহত হারুনের বাবা আবদুল মুনাফ পালোয়ান বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাত আসামীকে করে হত্যা মামলা দায়ের করলে আলোচিত মামলাটি তদন্তে নামেন পুলিশ। হত্যাকান্ডের একদিন পরে চরফ্যাশন থানা পুলিশ লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিছা গ্রাম থেকে নিহত হারুননের অটোটি উদ্ধার করা হলেও হত্যাকান্ডের জড়িতদের সনাক্ত করা যায়নি। পরে ২০২৩ সনের ২৭ ডিসেম্বর রাতে র্যাবের সহযোগিতায় ঢাকার কেরানীগনজ থেকে মো. মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানের দেয়া তথ্যমতে অপর আসামী মো. মো.রিয়াজকে ঢাকা সদরঘাট থেকে ও আবুবক্কর সিদ্দিক ওরফে ভাগিনা রিয়াজকে বরিশালের হিজলা থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামী মিজানকে গ্রেপ্তারের পর পরই হত্যাকান্ডের জট খুলতে শুরু করে।
মঙ্গলবার রাতে অপর দুই আসামী মো. রিয়াজ ও আবুবক্কর সিদ্দিক ওরফে ভাগিনা রিয়াজকে গ্রেপ্তারের পর পৌর সভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুব ও আবদুর রশিদের পুকুর সংলগ্ন কলা বাগান থেকে অটোচালকে হত্যায় ব্যবহারিত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার আরে জানায়, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চারজন আসামিই চুরি ও ছিনতাই করে বেড়ায়। হারুনের রিকশাটি ছিনতাই করতে না পেরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে বলে জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত আসামীরা। চরফ্যাশন থানার (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত চার আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পলাতক রয়েছে রুবেল নামের অপর এক আসামী। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।